Nibras Cover Photo

চুই ঝাল

সবাই সচরাচর যা জানতে চায়

চুইঝাল পানের লতার মত এক ধরনের গাছ, এর শিকড় ও কান্ড খাবারে ব্যবহার হয়ে থাকে। চুইঝাল মসলা ও ঝাল হিসেবে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। এটি খেতে অনেকটা আদা ও গোলমরিচের মত ঝাঝালো, রান্নার পর টুকরোগুলো চুষে বা চিবিয়ে খাওয়ার সাথে সাথে এর দারুন স্বাদ উপভোগ করা যায়। খুলনা অঞ্চলের দিকে মাংস রান্নায় এই চুইঝাল ব্যবহার ব্যাপক প্রচলিত।

এক কেজি মাংসে সাধারণত ৫০- ১০০ গ্রাম চুইঝাল ব্যবহার করা হয়। তবে এর পরিমাণ নির্ভর করে আপনার স্বাদের পছন্দের ওপর। যদি আপনি চুইঝালের ঝাঁজ ও গন্ধ বেশি পছন্দ করেন, তাহলে ১০০ গ্রাম পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারেন। কম ঝাঁজ পেতে চাইলে ৫০ গ্রাম যথেষ্ট।

চুইঝাল কাটার আগে অবশ্যই ১০ থেকে ১৫ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন। এরপর প্রথমত আশ বরাবর লম্বালম্বি কেটে নিবেন। তারপর প্রয়োজনমত ছোট বড় টুকরো করে নিন।

চুইঝাল দিয়ে রান্না করা তরকারিতে কড়া ঝাঁঝালো ঝাল একটা স্বাদ পাওয়া যায়। মাংস ছাড়াও ভুনা খিচুড়ি, মাছ ভুনা, বিভিন্ন রকমের রান্নায় চুইঝালের ব্যবহার এর স্বাদকে আরো বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়।

ঝোল জাতীয় যেকোন খাবারে চুইঝাল ব্যবহার করতে পারবেন। চুইঝালের ফ্লেভারটা ভালোমতো ঝোলের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার জন্য দুই তিন টুকরো চুই ঝাল থেতো করে দিবেন আর বাকি অংশটুকু আস্তই থাকবে। এতে করে যেমন ঝোল এর মধ্যে চুইঝালের ফ্লেভার পাবেন, আবার আলাদা করে চুইঝাল চিবিয়ে খাওয়ার মজাটাও উপভোগ করতে পারবেন।

চুইঝাল গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সমাধান করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে,খাবারের রুচি বাড়াতে এবং ক্ষুধামন্দা দূর করতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এছাড়া পাকস্থলী ও অন্ত্রের প্রদাহ কমায়, স্নায়ুবিক উত্তেজনা ও মানসিক অস্থিরতা প্রশমন করে, শারীরিক দুর্বলতা ও শরীরের ব্যথা কমায়। সদ্য প্রসূতি মায়েদের শরীরের ব্যথা দ্রুত কমাতে ম্যাজিকের মতো সাহায্য করে। কাশি, কফ, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া ও রক্তস্বল্পতা দূর করে। এছাড়াও চুই ঝাল ঘুমের ওষুধ হিসেবেও বেশ ভালো কাজ করে।

চুইঝাল গ্যালারি

আমাদের গ্রাহকরা আমাদের সম্পর্কে কি বলে